চাল আত্মসাতের মামলায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ওরফে তারু মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সুমন।
তিনি বলেন, আবুল কালাম আজাদের নামে চাল আত্মসাতের মামলা হলে তিনি হাইকোর্ট থেকে অস্থায়ী জামিন নিয়ে আসেন। জামিনের সময়কাল শেষ হলে বৃহস্পতিবার চীফ জুডিসিয়াল আদালতে হাজির হোন। এ সময় বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ওরফে তারুর বিরুদ্ধে গত ১৫ জুন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছে চাল বিতরনে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নবী হোসেন। ঘটনায় জড়িত থাকায় আসামি করা হয় গ্রাম পুলিশের সদস্য সোহাগ মিয়াকেও।
মামলার তথ্য বলছে, মাইজখাপন ইউনিয়নে ৪ হাজার ৪৪৭ জন ভিজিএফ কার্ডধারির মধ্যে জনপ্রতি ১০ কেজি করে ৪৪ হাজার ৪৭০ কেজি চাল বিতরণের কথা থাকলেও ১৪ তারিখ সকাল ৯টা থেকে ১৫ তারিখ বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ২ হাজার ১৬৫ জনের মধ্যে ২১ হাজার ৬৫০কেজি চাল বিতরণ করা হয়। ১৬ জুন সকালে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন অবশিষ্ট ২২ হাজার ৮২০ কেজি চাল থেকে ১ হাজার ৮২০ কেজি চাল সরিয়ে ফেলে।
ভিজিএফ চাল বিতরনের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নবী হোসেন বলেন, চাল পাচারের সময় স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য দেখে ফেলে আমাকে খবর দেয়। পরে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি আত্মসাতের কথা জানেন বলে জানান। এবং তার নির্দেশে এমনটা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন। বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়ে সরেজমিনে গিয়ে গোডাউনে চালের মজুত কম দেখে পরবর্তীতে পুলিশে খরব দেয় এবং থানায় মামলা দায়ের করি। উল্লেখ্য, এর আগেও গত বছরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তারু’র বিরুদ্ধে।
মন্তব্য করুন