জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য। তারা নাফনদ পেরিয়ে টেকনাফ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে টেকনাফের সদর ইনিয়নের নাজির পাড়া ও নয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় দিয়ে বিজিপির সদস্যরা আশ্রয় নেয়। মূলত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
একইদিন বিকেলে পৌরসভার জালিয়াপাড়া নাফনদস্থল টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় টেকনাফ-২ বিজিবির মেজর ইশতিয়াক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সীমান্তে যাতে কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে, সেজন্য আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি উল্লেখ করে বিজিবির অধিনায়ক বলেন, বুধবার টেকনাফের নাফনদে নতুন করে আরও ১৩ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১২৩ জন বিজিপির সদস্য আমাদের হেফাজতে আছেন। দ্রুত তাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার ফেরত পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৩ সাল থেকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। তবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ৫৪ কিলোমিটার সীমান্ত জলসীমাজুড়ে টহল কার্যক্রম চালাচ্ছে বিজিবি। মূলত ১৩ নভেম্বর ২০২৩ থেকে আমাদের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারে তাদের অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সীমান্তে টহল জোরদার করেছি।
মন্তব্য করুন