নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী আয়েশা আলীসহ ১৪৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও ভাইসহ পরিবারের পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
হাতিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল করিম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
সাবেক সংসদ সদস্যের পরিবারের অন্য আসামিরা হলেন তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস (৬২), ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ লিটন (৫৯), ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক আলী অমি (৩২) ও মাহতাব আলী অদ্রি (২৬)।
হাতিয়া থানার ওসি জিসান আহমেদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আবদুল করিম নামে একজন সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী আয়েশা আলীসহ ১৪৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। গত ১১ আগস্ট থেকে অন্য মামলায় মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশিক আলী অমিকে কারাগারে আছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট বিকেল ৪টায় হাসিনা সরকারের পতন ও নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি হাতিয়া উপজেলার চরকৈলাশ গ্রামের ওছখালী-সাগরিয়া সড়কের এমপির পোল এলাকায় পৌঁছালে মোহাম্মদ আলীর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে বাদী আবদুল করিম, সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নাছির ও হাতিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমান গণিসহ অনেকে আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবার অনেক গুম খুন ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং সরকারি সি ট্র্যাক বন্ধ করে ৬০০ টাকায় স্পিডবোটে করে জনগণকে যাতায়াতে বাধ্য করতেন। এসব কারণেই হাতিয়ার মানুষ তার ওপরে ক্ষুব্ধ। হাতিয়ার মানুষ এমপি পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানাচ্ছে।
এর আগে রোববার (১১ আগস্ট) ভোরে হাতিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর কৈলাস এলাকার বাড়ি থেকে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশিক আলী অমিকে হেফাজতে নেয় নৌবাহিনী। পরে থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ ৫৪ ধারায় তাদের আদালতে সোপর্দ করে। পরদিন বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাতিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার হোসেন।