মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেককে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যেতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে গাংনী উপজেলা পরিষদের মধ্যে অবস্থিত উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা গিয়ে এ নিষেধাজ্ঞা দেন।
জানা গেছে, গত ২-৩ দিন অফিসে করেছেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। বুধবার দুপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে নিষেধাজ্ঞা দেয়। অবশ্য এ সময় এমএ খালেক তার কার্যালয়ে ছিলেন না।
নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গাংনী উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু গণমাধ্যমকে জানান, এমএ খালেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি কার্যালয়ে বসে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। তিনি দীর্ঘদিন যেভাবে রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াতের ওপর দমননিপীড়ন চালিয়েছেন তাই করে যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, এমএ খালেক পর পর দুই মেয়াদে গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। বিগত মেয়াদে খালেক কোনো প্রকল্পের কাজ না করেই সরকারি টাকা পকেটস্থ করেছেন। প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও সরকারি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির সাজা হওয়া প্রয়োজন।
এমএ খালেকের বিরুদ্ধে ১৫ আগস্টের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ করে আসাদুজ্জামান বাবলু আরও বলেন, নাশকতা করে তিনি সরকার ও বিএনপি জামায়াতকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র করছেন বলে আমরা জানতে পারি। এ জন্য তাকে অফিসে আসতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে তার অফিসের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা সরকারি সব কাজ করবেন।
সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সময় আমি অফিসে ছিলাম না। সরকারি দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করেই আমি অফিস করছিলাম।
মন্তব্য করুন