রাজশাহীর বাগমারায় সংঘর্ষে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক হত্যার এক সপ্তাহ পর বাগমারা থানায় মামলা করেছেন ছেলে রিপন আলী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার। গত মঙ্গলবার রাতে মামলাটি হয়েছে বলে তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন।
ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি রহিদুল ইসলাম, বিএনপির নেতাকর্মীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন রিপন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ আগস্ট আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি ওইসব হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। মোজাম্মেল হক দক্ষিণ দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি কিছুদিন আগে অবসরে গেছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
এলাকার লোকজন জানায়, উপজেলার গনিপুর, আক্কেলপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের নিহত মোজাম্মেল হকের ছোট ভাই প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক, একই গ্রামের আব্দুল হাকিম, শহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি স্থানীয়ভাবে সমিতি গঠনের মাধ্যমে দাদন ব্যবসা শুরু করেন। এলাকার অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মধ্যে ঋণ দিয়ে টাকা পরিশোধের নামে তারা তাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক লিখে নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোজাম্মেল মাস্টারকে হত্যা করে ভুক্তভোগীরা। অবৈধ সমিতির এমন কর্মকাণ্ডে এলাকার লোকজন তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি, আব্দুল হাকিম, আব্দুর রাজ্জাক ও শহীদুল ইসলাম কারাগারে যান। গত মঙ্গলবার আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসেন।
যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার কালবেলাকে জানান, হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে রিপন আলী বাদী হয়ে ১৩ জনের নামে একটি মামলা করেছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন