শেখ হাসিনার দোসর প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিরা সম্মিলিতভাবে জুডিশিয়াল ক্যু করতে চেয়েছিলেন। খবর পেয়ে দেশের ছাত্র-জনতা তাদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার নিজস্ব পেইজে ১০ মিনিট ২৬ সেকেন্ড দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। বর্তমানে ড. রেদোয়ান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতি ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে ৯৪ বিলিয়ন ডলার শেখ হাসিনার চাটুকাররা বিভিন্ন দেশে পাচার করে জমা করেছেন। বাংলাদেশের ৯টি প্রাইভেট ব্যাংক ছাড়া বাকি ব্যাংকগুলো এখন রুগণ ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। কারণ হচ্ছে শেখ হাসিনা যাদের ব্যাংকের মালিক বানিয়েছেন ওই ব্যাংকের মালিকরা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে অবৈধভাবে ঋণ নিয়ে কোটি কোটি টাকা বিদেশে প্রচার করেছেন এবং আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, হাসিনার অবৈধ দালালরা আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। স্বর্ণ পাচার থেকে শুরু করে নানা ব্যবসা করে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। পাশাপাশি বিরোধীদলের রাজনৈতিক নেতারা ব্যাংকিং সেবা না পাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এই অবৈধ চাটুকারদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
হাসিনা সরকারের বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম তুলে ধরে তিনি বলেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ চালু করার নামে ৮৪ জন দোসরকে সুযোগ দিয়েছেন হাসিনা। তারা তার সময়ে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে ব্যাংক থেকে নিয়েছেন। পাশাপাশি তার ভারতীয় দোসর আদানি গ্রুপকে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান করেছেন। আর এই কাজ করে বাংলাদেশকে দেউলিয়াত্তের দিকে ঢেলে দিয়েছেন হাসিনা। এ ছাড়াও শেখ হাসিনা সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার রাশিয়া থেকে ঋণ করে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র বাস্তবায়ন করেছেন। যেখানে রাশিয়ার কাছ থেকে সমপরিমাণ টাকা নিয়ে ভারত তিনটি পরমাণু কেন্দ্র স্থাপন করেছে। তার কিছু কিছু দোসর রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে ব্যবসা করে অবৈধ টাকার মালিক হয়েছেন।
রেদোয়ান তার বক্তব্যে আরও বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত হাসিনা নিজে ও তার দোসরদের আর্থিক সুবিধা দিতে গিয়ে জাতির ঘাড়ে মাথাপিছু ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা চাপিয়ে গেছেন। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা এবং অসাধুভাবে উপার্জিত সমস্ত টাকা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান রাখেন রেদোয়ান।
মন্তব্য করুন