পর্যটননগরী কুয়াকাটার সৈকত সুনশান-নিস্তব্ধতা কাটিয়ে পর্যটকদের আগমনে মুখর হওয়ার পথে। মাস খানেক ধরে চলা সারা দেশে কোটা সংস্কার নিয়ে চলমান আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়া সকল কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। অলস সময় পার করছিল পর্যটনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সব ব্যবসায়ী। সে সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করছে এখানকার সকল ব্যবসায়ী।
পর্যটকদের আনাগোনা কম থাকলেও খুলছে কুয়াকাটার সকল আবাসিক হোটেল, স্বাভাবিক আছে রেস্তোরাঁসহ পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা।
রাখাইন মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, দোকান খোলা রেখে বসে থাকি। কোনো কাস্টমার নেই। গত দুদিন ধরে কাস্টমার আশা শুরু করেছে, তবে বিক্রি বাড়েনি।
সৈকত লাগোয়া ব্যবসায়ী মো. জলিল বলেন, কেনাবেচা নাই বিগত দেড় মাস ধরে। এখন মূলধন থেকে সংসারের খরচ চালাই। কিছু পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। আশা করছি, দ্রুতই স্বরূপে ফিরবে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য।
ক্যামেরাম্যান ইয়াসিন বলেন, ধারদেনা করে সংসার চালাই। আমাদের জমানো টাকা থাকে না যে বসে বসে খাব। আমরা পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। পর্যটল আসলে আমাদের সংসার চলে না হয় কষ্ট পেতে হয়। হাতেগোনা কিছু পর্যটক আসছে। আশা রাখছি সংকট দূর হবে।
আবাসিক হোটেল কানসাই ইন-এর ব্যবস্থাপক ফরাজি মো. জুয়েল বলেন, প্রায় মাস খানেক ধরে পর্যটক নেই। পরিবেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করায় পর্যটকের আগমন শুরু হচ্ছে।
সমুদ্রবাড়ী রিসোর্টের অপারেশন ম্যানেজার মো. সজিব বলেন, ১৯ জুলাইব কারফিউ জারির পর থেকেই একেবারে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে কুয়াকাটা। আশা করি অতিসত্বর স্বাভাবিক হতে শুরু করবে কুয়াকাটা।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি কেএম জহির বলেন, আমরা পর্যটকদের সেবায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমরা সাধ্যমতো সেবা প্রদান করতে প্রস্তুত। কয়েকদিন ধরে পর্যটক আসতে শুরু করছে। আশা করি শিগগিরই এ সংকট কেটে যাবে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসেসিয়েশনের সেক্রেটারি মোতালেব শরীফ বলেন, পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার মানুষ। সম্ভাবনাময় এ সেক্টরটি দিনে দিনে ধ্বংস হতে চলছে। বিগত দিনে আমাদের যে পরিমাণে মন্দা দেখা দিয়েছে, তা কাটাতে আবার কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। আশা করি, খুব দ্রুত আমাদের সংকট কাটাতে ব্যবস্থা নেবে পর্যটনসংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন