বগুড়ায় শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদিনে বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাত নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সোমবার (৫ আগস্ট) বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ, সদর পুলিশ ফাঁড়ি, আওয়ামী লীগ ও জাসদ কার্যালয়ে এবং আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ ছাড়া পুলিশ প্লাজাসহ বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে বগুড়া উদীচী কার্যালয়ও। এ ছাড়া বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও আনসার ব্যারাকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শেষে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এসব ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বগুড়ার চার যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান আলী রাঙ্গা, লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সুমন সরকার, গোকুল ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বিপুল এবং শাজাহানপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ।
রোববার (১১ আগস্ট) জেলা যুবদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক শাহাদত হোসেন সোহাগ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার (১০ আগস্ট) বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে লুটপাট ও ভাঙচুরে জড়িত থাকার দায়ে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- সারিয়াকান্দি পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন ডাবলু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন দীপন ও সদস্য সচিব সোহেল রানা।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরপর সারিয়াকান্দিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আনন্দ মিছিল করে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় বিক্ষুব্ধ কিছু আন্দোলনকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে। এ সময় চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এরপর তারা স্থানীয় পাবলিক ক্লাব, প্রেস ক্লাব, ক্রীড়া সংস্থা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব তরফদারের বাসভবনে হামলা করে। সেখান থেকে টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিল, আলমারিসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে।
মন্তব্য করুন