রাজধানীর ডেমরায় স্থানীয় যুবদল নেতা সাঈদ আহমেদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে টেংরা ওরিয়েন্টাল স্কুলের দক্ষিণ পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এই ঘটনায় এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ময়নাতদন্তের জন্য সাঈদ আহমেদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত সাঈদ বাহির টেংরা এলাকার মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে। তার নামে ডেমরা থানাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে।
নিহত সাইদ আহমেদ ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।
সাইদ আহমেদের মামা আপেল মাহমুদ জানান, যুবদলের একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আমার ভাগনে শুক্রবার সন্ধ্যায় ডেমরার ওরিয়েন্টাল স্কুল মোড় এলাকার বাসায় ফিরছিলেন। পথে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আনোয়ার, আকবর, রনি, সালামসহ ২০–২৫ জন সাইদের ওপর হামলা চালান। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যান।
আপেল মাহমুদ আরও জানান, খবর পেয়ে সাইদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের বিদায়ের পর সাইদ এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করেছিলেন বলেও জানান তিনি।
ডেমরা থানার ওসি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যুবদল নেতা সাঈদ নিহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। এই ঘটনায় সাঈদের লোকজন এলাকায় নানা রকম তাণ্ডব চালায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর ৩টি গাড়ি আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ৩ এপ্রিল টেংরা শফুরউদ্দিন মার্কেট সংলগ্ন চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার হন সাঈদ। পরে আদালত তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন