স্বাধীন ধর্ম চর্চার অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বানে বাগেরহাট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে বাগেরহাট শহরের শালতলা এলাকার শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দিরের সামনের রাস্তায় দিনভর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন : কুষ্টিয়ায় পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাগেরহাটের ৯ উপজেলা থেকে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক।
প্রধান বক্তা ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্মের মানুষ অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করি। এই বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম বিশ্বাসের জায়গায় স্বাধীনভাবে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও কেন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নির্যাতন হয়। আজ কেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠিত হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়। আমরা এই দেশকে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা হিসেবে দেখতে চাই। দেশের নাগরিক হিসেবে অন্য দশজন মানুষের মতো আমরাও স্বাধীনভাবে থাকতে চাই। আগামী নির্বাচনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
বাগেরহাট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন : বাগেরহাট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাগেরহাট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক নিয়ল ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন, পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হালদারসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে আগামী দুই বছরের জন্য জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের একটি কমিটি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন