টানা চারদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শোনা যাচ্ছে লুটপাট আর দৃর্বৃত্তদের হামলার খবর। এমন পরিস্তিতিতে দুর্বৃত্ত দমনে নগরের বিভিন্ন মসজিদে নামাজের পর সচেতনতামূলক বয়ান ও মাইকিংয়ের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নগরের সাগরিকা পিসি রোডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায়’ কুরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলন ও আত্মহুতির বিনিময়ে আমরা আজ বিজয় অর্জন করেছি। এ মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং যদি তা অর্জন করা না যায়, তাহলে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়বে। সুপরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরি করতে অপশক্তি উঠে পড়ে লেগেছে। চলমান অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে দেশের চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, কারা বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করছে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে এর পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে এটা খুব সুখকর পরিস্থিতি হবে না। দোয়া মাহফিলে শহীদ পরিবার ও অসুস্থ আন্দোলনকারীদের সহযোগিতাসহ তাদের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। শুধু তাই নয় বিপদে-আপদে এবং সামগ্রিক কল্যাণমুখী কর্মসূচী বাস্তবায়নে উপস্থিত সকলকে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে আগামীর দিনগুলিতে অগ্রসর হতে হবে। আন্তরিক ঐক্যবদ্ধতায় মানবিক মূল্যবোধ থেকে সমন্বিত প্রচেষ্টায় এখন থেকে বিভিন্ন কর্মসূচীসহ মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসবে সকলে এমনটাই প্রত্যাশা।
এদিকে চট্টগ্রাম জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি স্থাপনায় হামলা, সম্পদ নষ্ট, ভাঙচুর ও নৈরাজ্যের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এসব বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর জনগণের ওপর স্বৈরশাসন চাপিয়ে দিয়েছিলেন। সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। সাহসী ছাত্রজনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে গণতন্ত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। দেশ আজ ফ্যাসিস্ট হাসিনামুক্ত। বাংলাদেশ আজ কারামুক্ত। হাজারো শহিদের জীবনের বিনিময়ে ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আরেকটি বিজয় দেখেছে। কিন্তু এ বিজয়কে কালিমাযুক্ত করার ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন