শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে দেশে বিভিন্ন সেক্টরে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার চট্টগ্রামে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ভেতরে এবার টালমাটাল অবস্থা। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ১২ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন আরএনবি সদস্যরা। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে এ সময় অনেকেই বাহিনীটির পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট জহিরুল ইসলামের অপসারণ দাবি করেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে এ বিক্ষোভে অংশ নেন আরএনবির সদস্যরা।
সদস্যদের ১২ দফা দাবিগুলো হলো স্থায়ীভাবে ভোলাগঞ্জ সার্কেল শিগগিরই প্রত্যাহার করতে হবে এবং দপ্তরাদেশ জারি করতে হবে, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আইন- ২০১৬ অনুযায়ী কর্মচারী না বাহিনী তা সুনিশ্চিত এবং বাহিনী হলে বাহিনীর সব সুযোগ-সুবিধাসহ (রেশন, ঝুঁকিভাতা, যাতায়াত ভাতা) অন্যান্য সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে। নীতিমালা সংশোধন করে প্রতিবছর নিয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত এবং ৩ বছর পর পর পদোন্নতি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাহিনীর নীতিমালা অনুযায়ী নিজস্ব তত্ত্বাবধানে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তি, রেলওয়ে মহাপরিচালক, মহাব্যবস্থাপক এবং সব সরকারি বাহিনী ও নিজস্ব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো সিভিল প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে কোনো আদেশ বা প্রটোকল ডিউটিতে নিয়াজিত থাকবে না আরএনবি, হেডকোয়ার্টার ছাড়া বিশেষ ডিউটিতে বাহিনী নিজস্ব যাতায়াতব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল উদ্ধার) আইন ২০১৬ মোতাবেক পূর্বের ন্যায় মামলা দায়েরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রত্যেক সার্কেলের ব্যারাকগুলো সংস্কারসহ সব মৌলিক চাহিদা পূরণ ও সদস্যদের ৮ কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করতে হবে। যদি নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয় তাহলে তার পরিবর্তে ভাতা প্রদান করতে হবে, অন্যান্য বাহিনীর মতো রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বেতনবৈষম্য দূর করতে হবে, রেলওয়ে সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ এবং রেলওয়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল বাহিনীতে রূপান্তর করতে হবে, সিজিপিওয়াই পাহাড়তলী কারখানা, পাহাড়তলী স্টোর, সিজিএমওয়াই ইত্যাদি কেপিআইভুক্ত এলাকাসমূহের ক্যারেজ ফিটিংয়ের কোনো মালামালের চার্জ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বুঝে নেবে না, আরএনবি সব সদস্যের কর্মবিরতি ও দাবি আদায় প্রসঙ্গ নিয়ে কোনো প্রকার বিভাগীয় বদলি ও হয়রানি করা যাবে না।
মন্তব্য করুন