ফেনীতে বোরকা পরে পালানোর সময় যুবলীগ নেতাকে আটক করে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এর আগে তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে জেলার সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের কইন্না খাল থেকে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের নাম মুশফিকুর রহিম মিশু। তিনি ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মিশু যুবলীগের রাজনীতির পাশাপাশি সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার আহমেদ মুন্সির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবরের পর এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল শুরু করে ধলিয়া বাজারে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে যুবলীগ নেতার বাড়িতে আত্মগোপন করেন। সন্ধ্যায় একদল দুর্বৃত্ত মিশুর বাড়িতে হামলা চালালে তিনি প্রাণভয়ে পালিয়ে যান।
স্থানীয়দের ধারণা, প্রাণ বাঁচাতে মিশু বোরকা পরে পালানোর সময় দুর্বৃত্তরা তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ খালে ফেলে দেওয়া হয়।
নুর নবী নামে সফরপুর গ্রামের এক বাসিন্দা জানায়, মরদেহ উদ্ধারের পর খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ আসেনি।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বিপ রায় পলাশ জানান, যে স্থানে মরদেহ পাওয়া গেছে সেটি ফেনী সদর থানার আওতাধীন, তাই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফেনী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার ফোন দিলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন