হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সংঘর্ষে সাংবাদিক, এসআইসহ আটজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় বানিয়াচং এলআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন বানিয়াচং সদরের সাগরদিঘি পূর্ব পাড়ের মোশাহিদ আখঞ্জীর ছেলে স্থানীয় লোকালয় বার্তা পত্রিকার সাংবাদিক সোহেল আখঞ্জী (৩০), উপজেলার যাত্রাপাশা মহল্লার সানু মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (১২), মাঝের মহল্লা গ্রামের আবদুর নূরের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১৭)।
এ ছাড়া পাড়াগাঁও মহল্লার শমশের মিয়ার ছেলে মোজাক্কির মিয়া (৪০), কামালহানি মহল্লার নয়ন মিয়া (১৮), যাতুকর্নপাড়া মহল্লার আবদুর রউফের ছেলে তোফাজ্জল (১৮) ও পূর্বঘর গ্রামের দলাই মিয়ার ছেলে সাদিকুর (৩০)। অন্যজন হলেন বানিয়াচং থানার এসআই সন্তোষ।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুরুল হক সাতজনের মৃত্যুর বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে বানিয়াচং সদরের এলআর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে একটি মিছিল নিয়ে উপজেলার নতুন বাজার হয়ে বড় বাজার যায় আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে আবার মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে গুলিতে ঘটনাস্থলে তিনজনসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন পুলিশসহ শতাধিক মানুষ।
নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ দলবদ্ধ হয়ে থানায় ও ডাক বাংলোয় হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পুরে ছাই হয়ে যায় সবকিছু। এ ছাড়া ১০/১৫টি যানবাহন পড়ে গেছে। থানার ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন পুলিশ সদস্যরা।
একপর্যায়ে মধ্যরাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ সদস্যসহ থানায় আটকে পড়াদের উদ্ধার করে। কিন্তু তার আগেই এসআই সন্তোষকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এ ছাড়া আজ সকালে আরও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন