পঞ্চগড়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে এ হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। বেশিরভাগ নেতাই আত্মগোপনে আছেন।
সাদ্দাম ছাড়াও পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইয়া, পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শেখ মিলন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ূন কবীর উজ্জ্বল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারীর বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ ছাড়া বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আলম টবি, তার চাচাতো ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অমিয় আল অমি, বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম সাবুল, পঞ্চগড় আদালতের পিপি আমিনুর রহমান, আ.লীগ নেত্রী দিলখুশা প্রধান বিপ্লবীসহ অনেক নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।
এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনারের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা যাদের উপর ক্ষোভ রয়েছে তাদের বাড়িতেই নির্বিচারে হামলা করছেন।
তবে এমন হামলা সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, দীর্ঘ দুঃশাসনের পর আজ আমরা মুক্ত হয়েছি। লাল সবুজের পতাকা আজ পতপত করে উড়ছে। এই বিজয় সবার। মানুষ আজ তার অধিকার ফিরে পেয়েছে। তবে এর পেছনে শত শত ছাত্র জনতার প্রাণ বলিদান করতে হয়েছে। আমরা তাদের কোনোদিন ভুলবো না। তবে আওয়ামী লীগ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ দুঃখজনক ঘটনা। আমরা ছাত্ররা শান্তি শৃঙখলায় বিশ্বাসী। যারা এই কাজটি করছেন তারা মোটেই ভালো কাজ করছেন না। আমরা এর নিন্দা জানাই।
মন্তব্য করুন