ঢাকার ধামরাইয়ে শরীফবাগ বাজারে সাজেদা আক্তার নামে এক গৃহবধূ গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় ধামরাই পৌর এলাকায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ সাজেদা আক্তার (৪০) শরীফবাগ এলাকার বাসচালক মো. শওকত আলীর স্ত্রী। নিহত বাকি দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শরীফবাগ এলাকার সাজেদা আক্তার নামে এক গৃহবধূ চাল গুঁড়ি করতে বাজারে যান। তখন ওই গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা মাইকিং করে হাজার হাজার লোক সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে নির্বিচারে নিরস্ত্র আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও বন্দুকের গুলি করা হয়। শরীফবাগ বাজার, ধামরাই উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও থানা কম্পাউন্ডে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
এতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৌরশহরের গোয়ারীপাড়া মহল্লার অজ্ঞাত পরিচয় এক তরুণ ও ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ত্রীমোড়ে ভাড়াড়িয়ার এক যুবক নিহত হয়েছেন। অপর দিকে ঠিকাদার সফিকুল ইসলামের ভবনে গুলি চালানো হলে পারভেজ নামে একজনসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হন। অপর দিকে হার্ডিঞ্জ এলাকায় কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ছাত্র-জনতা, শরীফবাগ ও উপজেলা চত্বরে মো. সৌরভ হোসেন, নাঈম ইসলাম, সেলিম হোসেন ও আবু তাহেরসহ অন্তত ৩০ ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
পরে আন্দোলনকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ, নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, পৌরভবন, থানা কমপ্লেক্স, বাসভবন, কাউন্সিলরের অফিস, আওয়ামী লীগ নেতার বাসভবন ও সংসদ সদস্য বেনজির আহমদের সিটি সেন্টারে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। থানার গুরুত্বপূর্ণ নথি, অর্ধশতাধিক গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলম শেখ, থানার স্টাফ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন সপরিবারে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
মন্তব্য করুন