বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে সারা দেশে সংঘর্ষের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য চালু হয়েছে কারফিউ। ফলে গাজীপুরে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে তেমন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
কারফিউর কারণে পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যেকোনো সংঘাত এড়াতে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় কাজ করছে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কোনো যানবাহন চলছে না। চান্দনা চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া র্যাব, বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।
সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সড়কে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম। যারাই বের হচ্ছেন তাদের সেনা সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে, রোববার (৪ আগস্ট) আন্দোলনকারীরা দিনভর গাজীপুরে তাণ্ডব চালায়। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, কালিয়াকৈর ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ডাকবাংলো, পুলিশ বক্স, সড়ক ভবন ও বেশ কয়েকটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাসন ও কালিয়াকৈর থানায়ও হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া শ্রীপুরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক নির্মাণশ্রমিক নিহত হন।
মন্তব্য করুন