কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের বীরদামপাড়া গ্রামের আলম মিয়ার স্ত্রী অঞ্জনা আক্তার (৩৪), একই এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে জুলকার মিয়া (৩৫), বাজিতপুর উপজেলার দিঘিরপাড় এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কদ্দুস (৩৪), কিশোরগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি মোড়ের ব্যবসায়ী করিমগঞ্জ উপজেলার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ (৫০) ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইলের ইবাদ আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা মবিন মিয়া (৩৪)।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট দখলে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বের হন। মিছিল শেষে তারা দলীয় অফিসে অবস্থান নেন। পরে তাদের ধাওয়া দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সামনের সড়কে ৩টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় তারা। এরপরই আক্রমণ করা হয় জেলা আওয়ামী লীগ অফিস থেকে কয়েকশ গজ দূরে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসায়। সেখানে ভাঙচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় গৃহপরিচারিকা অঞ্জনা ও জুলকার মিয়া অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
বিক্ষোভকারীরা পরে শহরের বটতলা মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর শেষে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত শতাধিক আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন