কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় রিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের সাহেবাবাদ দক্ষিণ-পূর্ব পাড়া ফরিদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ রিয়া আক্তার ওই বাড়ির সিঙ্গাপুর প্রবাসী রিমন মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুড়িচং উপজেলার খাড়াতাইয়া গাজীপুর এলাকার মো. মাসুদ ভূইয়ার মেয়ে রিয়া আক্তারের সঙ্গে উপজেলার সাহেবাবাদ দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন মিয়ার গত তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সাদমান নামে ১১ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
ঘটনার দিন রোববার দুপুরে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় রিয়ার। তার কিছুসময় পরে প্রবাসী স্বামী রিমন মিয়া আবারও কয়েকবার কল দিয়েও রিয়ার সাড়া না পেয়ে ঘরের অন্য সদস্যদের কল দেন। এ সময় ঘরের অন্য সদস্যরা রিয়ার শোবার ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ দেখে তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে রিয়াকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তারা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্বামী রিমন মিয়ার চাচা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, পারিবারিকভাবে কোনো অশান্তির কথা আগে কখনো শুনিনি। আত্মহত্যার কিছুসময় আগেও রিয়া তার স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছে। কেন সে এভাবে আত্মহত্যা করেছে বুঝতে পারছি না।
নিহতের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার মেয়ে রিয়া আমাদের ফোন করে বলেছে তাড়াতাড়ি তার শ্বশুর বাড়ি আসতে। আমরা রওনা হতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লেগেছে। এরই মধ্যে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন এসেছে রিয়া আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ে এর আগে অনেকবার বলেছে স্বামীর সংসারে সে সুখে নেই। আমরা তাকে স্বান্ত্বনা দিতাম।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল আওয়াল তালুকদার কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করি। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যপারে অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন