বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে আহত হয়ে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে বগুড়া শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে সংঘর্ষকালে গুলিবিদ্ধ একজনকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি তার নাম পরিচয় জানাতে পারেননি।
এদিকে একই সময় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা ও উপজেলা পরিষদ, ভূমি অফিসে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় সংঘর্ষ শুরু হয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের নাম মুনিরুল ইসলাম। তার বাড়ি কাহালু উপজেলার বীরকেদার এলাকায়। মুনিরুল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. শামসুন্নাহার।
এর আগে দুর্বৃত্তরা বগুড়া শহরের টিএনটি অফিস, আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, সদর ভূমি অফিস ও আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করায় পুরো শহর ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পরে।
বিকেলে শহরের কালিতলায় অবস্থিত বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর তিনতলা বাসভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংয়োগ করা হয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়াও দুর্বত্তরা শহরের বড়গোলায় সিটিব্যাংকের এটিএম বুথ সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে টাকা লুটপাট করে। এ সময় অন্যান্য ব্যাংকে আতঙ্ক দেখা দেয়।
আর বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আব্দুল ওয়াদুদ নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, তাদের লাশ শজিমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, কেউ মারা গেছেন কি না এখন পর্যন্ত এ খবর আমার জানা নেই। আন্দোলনকারীরা থানায় হামলা করছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আমরা কাজ করছি।
মন্তব্য করুন