লক্ষ্মীপুরে কোটা আন্দোলনের গণমিছিলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর গাড়িচালক রাসেল শটগান নিয়ে অন্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। তার একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক চেয়ারম্যানের এক শুভাকাঙ্ক্ষী জানিয়েছেন, অস্ত্রটি উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে লাইসেন্স করা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরশহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুমার নামাজ শেষে চকবাজার এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান টিপু ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে অবস্থান নেন।
সে সময় একই এলাকার বিভিন্ন অলি-গলিতে আন্দোলন কর্মসূচিতে আসা শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছিলেন। তখন ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের গাড়িচালক রাসেল অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের পেছনে ধাওয়া করেন।
অস্ত্র হাতে ধাওয়ার বিষয়ে জানতে গাড়িচালক রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, আমরা আন্দোলনের মাঠে থাকলেও দোষ, না থাকলেও দোষ। স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে আমরা মাঠে ছিলাম।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার কালবেলাকে বলেন, ঘটনার সময় অস্ত্র হাতে কাউকে চোখে পড়েনি। এখন ফেসবুকে দেখছি। তার নাম-পরিচয় জানা নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, উপজেলা চেয়ারম্যান টিপু চকবাজার জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে তিনি শুক্রবার নেতাকর্মীদের নিয়ে জুমার নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে মুসল্লিদের দ্রুত বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মিছিল বের করেন চেয়ারম্যান টিপু।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিল শেষ হলে কিছু সময় পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বাজার ব্রিজ থেকে মিছিল নিয়ে বের হন। এতে পুলিশ বাধা দেয়। তবে পুলিশের বাধা ভেঙে মিছিলটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তখনই শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন টিপুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে ৭ থেকে ৮ জন শিক্ষার্থী।
মন্তব্য করুন