কোটা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক কালবেলার সিলেট ব্যুরো চিফ মিঠু দাস জয় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিক, পুলিশ ও আন্দোলনকারীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে সিলেটের সুরমা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মিঠু দাস জয় তিনটি ছররা গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল ৩টার দিকে মিছিলটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুরমা থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক গিয়ে আবার সুরমা আসার সময় পেছন থেকে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে সুরমা ও আখালিয়া এলাকায় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে। পরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে।
এদিকে সুরমা এলাকাস্থ মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিলে পুলিশ সেখানে হামলা করে। তাছাড়া পুলিশকে আশপাশের বাসা-বাড়িতে হামলা করতে দেখা যায়।
হামলার বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমাদের ওপর নির্বিচারে পুলিশ পেছন থেকে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে আমাদের বেশকিছু নারী শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০০জনের অধিক আহত ও ৮জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ কালবেলাকে বলেন, রাস্তা ব্লক করে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। তা ছাড়া আমরা ৮জন দুষ্কৃতিকারীকে আটক করেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করছি।
আহত দৈনিক এশিয়ান এইজের ফটো সাংবাদিক বলেন, আমরা হাসপাতালের পাশ থেকে ভিডিও করার সময় পুলিশ হামলা চালায়। আমরা হাত দিয়ে বারবার পুলিশকে ইশারা করা সত্ত্বেও পুলিশ আমাদের দিকে রাবার বুলেট ও ছররা গুলি মারে।
মন্তব্য করুন