জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের ঘোষণায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র, শিল্পী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আনন্দ মিছিল করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শত শত মানুষ মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তারা সরকারের প্রশংসা করেন। শহরের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ হাত নেড়ে মিছিলকারীদের অভিনন্দন জানান।
এ সময় সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, শুধু ২০১৩ সালে সাতক্ষীরায় জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে ১৬ জন মানুষকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়। সরকার তাদের নিষিদ্ধের যে যুগান্তকারী ঘোষণা দিয়েছে তাতে সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করছে।
কণ্ঠশিল্পী শামীমা পারভিন রত্না বলেন, জামায়াত-শিবিরের হাতে মানুষের রক্ত। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে একটি ঘৃণ্য বর্বর সংগঠন। স্বাধীনতার আগে ও পরে তারা স্বাধীনতার সপক্ষের রাজনীতিক-শিল্পী-সাংস্কৃতিককর্মী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। তাই সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
সাংবাদিক নেতা শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন বলেন, জামায়াত-শিবির শুধু একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারদের খুনের সঙ্গী ছিল না স্বাধীনতার পরেও সাতক্ষীরাসহ সারাদেশে স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষদের হত্যা ও বাড়িঘর দোকানপাট লুণ্ঠনে সম্পৃক্ত ছিল। তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতক্ষীরার কৃতীসন্তান জুবায়ের চৌধুরী রীমুকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
মানবাধিকারকর্মী মাধব দত্ত বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াত-শিবির এদেশের নিরস্ত্র বাঙালি নারী পুরুষকে হত্যা করে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান করে। তারা এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। দেশ স্বাধীন হলেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করেছে তারা। ছাত্র-শিক্ষকদের হত্যা করেছে। এ স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী অপশক্তিকে নিষিদ্ধ করে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
মিছিলে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, শ্রমিক নেতা ছাইফুল করিম সাবু, জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, সাংবাদিক শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, ভূমিহীন নেতা আলী নুর খান বাবলু, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জোৎন্সা দত্ত, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক সুরেশ পান্ডে, শাহাদাৎ হোসেন, ডা. সুব্রত ঘোষ, শামীমা পারভীন রত্না, নাজমুন নাহার মুন্নি, যুব মহিলা লীগের সাবিহা হোসেন, সীমা সিদ্দিক, কৃষকলীগের অ্যাড. আল মাহামুদ পলাশ, ছাত্রনেতা আজমীর হোসেন, মেহেদী হাসান, শ্রমিক নেতা শেখ রবিউল ইসলাম রবি, সৈনিক লীগের বাবু খান, বিকাশ চন্দ্র, আ.লীগ নেতা আনারুল ইসলাম রনি, আসাদুজ্জামান লাভলু, গৌরপদ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন