নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার উদ্ধাখালী নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। গত কয়েকদিন ধরে চক্রটি বিভিন্ন সময় নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কান্দাপাড়া গ্রামের মো. সামছুল আলম। তিনি গত বুধবার নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, কলমাকান্দা উপজেলার স্থানীয় কান্দাপাড়া গ্রামের মো. আবদুল কাদির, মো. সাইকুল ইসলাম, মো. তরিকুল ইসলামসহ কয়েকজনের একটি চক্র উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত উদ্ধাখালী নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে।
কান্দাপাড়া গ্রামের আবদুল কাদির, সাইকুল ইসলাম, তরিকুল ইসলামসহ তাদের লোকজন গত ৫ জুন থেকে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে লাখ লাখ টাকার বালু তুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এমনকি বালু উঠিয়ে নদীর পাড়ে বিভিন্ন স্থানে মজুত করছে। উপজেলার কয়রা হতে হাটশিরা, শিবনগর, কান্দাপাড়া, কুনিয়া ব্রিজ পর্যন্ত নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উঠানো হচ্ছে। ফলে নদীর পাড় ও এলাকার বিভিন্ন স্থানে মানুষের বাড়িঘর, ফসলি জমি ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে দাবি অভিযোগকারীর।
কান্দাপাড়া গ্রামের মো. সামছুল আলম ও এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলে বালু উত্তোলনকারীরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারতে আসে। এমনকি প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। অভিযোগকারী মো. সামছুল আলম এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কলমাকান্দার কান্দাপাড়া গ্রামের মো. আবদুল কাদিরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কলমাকান্দায় অভিযান চালানো হয়েছে। বালু ও নৌকা জব্দ করে বালু উত্তোলনকারীদের জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগটি এখনো আমার কাছে পৌঁছেনি। অভিযোগ পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন