হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের বন্দিদের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনদের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে আটক বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে না পেরে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে স্বজনরা। অনেকেই প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ও খাবার দিতে না পারায় মানবেতন জীবনযাপন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ রাখা হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে প্রায় ১৮ দিন ধরে কারাগারে আটক বন্দিদের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বন্দিরা ইচ্ছে করলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন।
কারাগারের সামনে বসে থাকা আবিদ আলী জানান, কিছুদিন পূর্বে তার ছেলেকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে তার সঙ্গে দেখা করতে না পারায় তিনি চরম কষ্টে জীপনযাপন করছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, দেখা সাক্ষাৎ হলে ভেতরে বন্দিরা অনেকটা মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন।
স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি আগে থেকে না জানানোর কারণে আজমিরীগঞ্জ থেকে ছেলেকে দেখতে আসা এক নারী জানান, তার ছেলেকে পুলিশ কোটা আন্দোলনের সময় আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে কিন্তু তিনি কোনো অবস্থায় তার ছেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেনি। যে কারণে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মাসুদ হাসান জুয়েল জানান, মূলত নরসিংদীর কারাগারে হামলার পর থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে বন্দিদের সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে। তবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বন্দিরা যোগাযোগ করতে পারেন।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেলে আবারও স্বজনদের সঙ্গে কয়েদিদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হবে। আপাতত সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
মন্তব্য করুন