সাতক্ষীরা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলার ওপর নির্ভর করে এলাকায় সুখ ও সমৃদ্ধি। যেখানে মানুষ যত সুশৃঙ্খল সেই এলাকা ততই উন্নত। আশাশুনি উপজেলার নিরাপত্তার যেন কোনো প্রকার অবনতি না হয় সে বিষয়ে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে সজাক দৃষ্টি রাখতে হবে।’ বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, আমাদের সবার চোখ-কান খোলা রাখতে হবে কেউ যেন আমাদের শান্ত উপজেলাকে অশান্ত করতে না পারে। আশাশুনিতে কোথাও কোনো জুয়াড়ি থাকবে না। ক্যামার, লুড়ু, তাস খেলার আড়ালে জুয়া হলে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেন তিনি।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে আয়োজিত মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ বি এম মোস্তাকিম বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের সব দাবি প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। এই আন্দোলনকে পুঁজি করে কোনো ধরনের সহিংসতা আশাশুনিতে সহ্য করা হবে না। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে তা দমন করা হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আশাশুনি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাশেদ হুসাইন, আশাশুনি থানার ওসি বিশ্বজিৎ কুমার,আশাশুনির উপজেলা পিআইও সোহাগ খান, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হোসেনুজ্জামান হোসেন, বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু, দরগাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলী, শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দীপংকর বাছাড় দ্বীপু, কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর সাকি পলাশ, কাঁদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দীপংকর কুমার সরকার, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আল ফারুক, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রাবিদ মাহমুদ চঞ্চলসহ আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন