সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকার সোহাগপুর গরুর হাট থেকে আজুগড়া জামাত মোড় সংযোগ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা। কোথাও কোথাও সড়কে কার্পেট উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। আবার কোনো কোনো জায়গায় সড়কটি ভেঙে একেবারে যানবাহনের চলাচলে অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে সোহাগপুর গরুর হাট এলাকা থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদের বাড়ি পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা যায়। ভগ্নদশা এই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রায় লক্ষাধিক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতাযাত করে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। ১৫ বছরেও সড়কটি কোনো উন্নয়ন হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আব্দুল মালেক জহুরুল, রিজন, ইলিয়াস, জমের আলীসহ আরও বেশ কয়েকজন পথচারীর কথা হলে তারা জানান, এ সড়কটি দিয়ে পৌর এলাকার সোহাগপুর, বেলকুচি সদর, বড়ধূল ইউনিয়ন, মেঘুল্লা, আজুগড়া, এনায়েতপুর ও টাঙ্গাইলের লোকজন যাতায়াত করেন। সড়কটি ভাঙা থাকার কারণে যানবাহন ঠিকমতো চলতে পারে না। প্রায়ই এ সড়কের ভাঙা জায়গাগুলোতে যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত বিভিন্ন যান উল্টে যাত্রীদের হতাহতে ঘটনা ঘটে।
তারা আরও জানান, এই সড়কটি মানুষের যতায়াতের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও ১৫ বছরেও কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি। যার কারণে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগটা বেশি লক্ষ্য করা যায়।
বড়ধূল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ জানান, গরুর হাট থেকে জামাত মোড় পর্যন্ত সড়কের এমনই বেহাল দশা যা দিয়ে পথচারীদের হেটে যাওয়াই দুষ্কর হয়ে গেছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের জন্য বেশি দুর্ভোগের কারণ হয়ে পড়েছে । চরের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে এ সড়কটি ব্যবহার করে তাদের যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় রোগীবাহী গাড়িও উল্টে পড়ে যাওয়া ঘটনা ঘটে। এমন অবস্থায় সড়কটি মেরামত হওয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
বড়ধূল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লা বলেন, প্রায় ১৫ বছরের বেশি সড়কটির ভগ্নদশা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সড়কটির সংস্কার কাজের ব্যাপারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সড়কটি আমার ইউনিয়নবাসীসহ কয়েকটি ইউনিয়ের মানুষের অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সড়কটির দ্রুত মেরামত হওয়া প্রয়োজন।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বলেন, গরুর হাট থেকে আজুগড়া জামাত মোড় সংযোগ সড়কটি মূলত ওয়াপদা সংরক্ষণ বাঁধ হিসেবে নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরে এই সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় আনা হয়েছে। অনেক বছর সড়কটির কোনো উন্নয়ন কাজ না হওয়ার কারণে চলাচলে প্রায় অযোগ্য হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে একটি চিঠি দিয়েছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সড়কটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনী নির্দেশনা পেয়ে যাব।
মন্তব্য করুন