বন্যার পানি কমে যাওয়ায় তিস্তায় চলছে তীব্র ভাঙন। তিস্তার ভাঙনে ৪০ কিলোমিটার নদীপথের কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২শ বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। উপজেলার ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক জানান, বন্যায় ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত তিন দিনে ইউনিয়নের খিতাব খাঁ বড় দরগা, বুড়ির হাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙনে ২০টি বাড়ির বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সেইসঙ্গে বড় দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যে কোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হতে পারে।
একই উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, তিস্তার ভাঙনে তার ইউনিয়নের চর গোরাইপিয়ার, চর জুয়ান সুতরার নগরপাড়া, পশ্চিম কিশোরপুর, বামনপাড়ায় তিস্তার ব্যাপক ভাঙনে ৪৫টি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে কয়েক একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে।
একই উপজেলায় তিস্তার করাল গ্রাসে ক্ষতবিক্ষত বজরা ইউনিয়ন। তিস্তার ভাঙনে এই ইউনিয়নের সাদুয়া, দামারহাট, খামার দামারহাট, সাতা লস্কর, পশ্চিম বজরা, চর বজরা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন চলছে। এরই মধ্যে ১০০ পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান কালবেলাকে বলেন, কুড়িগ্রাম অংশে তিস্তা নদী ৪০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে চিলমারীর অদূরে গাইবান্ধা জেলার কামারজানি এলাকায় ব্রহ্মপুত্রে পতিত হয়েছে। এই ৪০ কিলোমিটার নদীর ১০টি স্পটে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ অব্যাহত রয়েছে, আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।
মন্তব্য করুন