টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ এএম
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ছেলের ছবিতে হাত বুলাচ্ছেন আর অঝোরে কাঁদছেন মা

বাঁ থেকে- সন্তানের ছবি হাতে কাঁদছেন মা, ছবির ফ্রেমে পলাশ। ছবি : কালবেলা
বাঁ থেকে- সন্তানের ছবি হাতে কাঁদছেন মা, ছবির ফ্রেমে পলাশ। ছবি : কালবেলা

বারবার ছেলের ছবিতে হাত বুলাচ্ছেন, আর অঝোরে কেঁদে যাচ্ছেন গর্ভধারিণী বিধবা মা বেণু বেগম। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৯ জুলাই গুলিতে নিহত হন তার ছেলে ফিরোজ তালুকদার পলাশ (৩৮)। ছেলের শোকে মাঝে মধ্যেই অচেতন হচ্ছেন তিনি। সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী ও স্বজনরা নিহত পলাশের মায়ের কাছে ভিড় করছেন।

জানা যায়, ঢাকার মিরপুর থেকে বাড়ির পথে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে মায়ের কাছে রওনা দিয়েছিলেন পলাশ। সেদিন শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে পড়ে ছোড়া গুলিতে নিহত হন তিনি। ভূঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দি এলাকার সোহরাব তালুকদারের বড় ছেলে পলাশ। তারা দুই ভাই ও এক বোন। পলাশের স্ত্রী ও ৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

৫ বছর আগে থেকে পলাশ ঢাকার মিরপুর-১২ তে একটি কেমিক্যাল কোম্পানিতে অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ঘটনার দিন বাড়ির উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইল রওনা দিয়েছিলেন পলাশ। পথে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় পৌঁছলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এমন সময় হঠাৎ ছোড়া গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পলাশ। স্থানীয় লোকজন তুলে মিরপুরের আলোক হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর পলাশের সঙ্গে থাকা মোবাইলে তার মাকে ফোন করে জানান স্থানীয়রা। মা বেণু বেগম পলাশের স্ত্রীকে জানালে পলাশের স্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। পরে পলাশের মরদেহ এনে নিজ এলাকায় ঘাটান্দির তালুকদার কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্বজনরা জানান, নিহত পলাশ খুব ভালো ছেলে ছিল। দুই ভাইয়ের মধ্যে পলাশ বড়। পলাশ চলে যাওয়ায় তার ৭ বছরের মেয়ে ও স্ত্রীর জীবন অন্ধকারে পড়ে গেল। এমনিতেই পলাশের সংসার অভাব-অনটনের মধ্যেই ছিল।

নিহত পলাশের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ইশরাত জাহান সাবিনা জানান, পলাশের বুকে একটা গুলি লেগেছিল। তার পুরো শরীর রক্তাক্ত ছিল। এভাবে মৃত্যু হবে এটা ভাবা যায় না। মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও বাড়িতে এসেছিল সে। অনেক স্বপ্ন ছিল তার। কে জানত বাড়ি আসার জন্য তাকে মরতে হবে।

গর্ভধারিণী মা বেণু বেগম বলেন, আমার বাবার বুকে গুলি করেছিল। পায়েও মনে হয় গুলি লাগছিল। তা না হলে পায়েও কেমন জানি ক্ষত ছিল। আমি বিচার চাই। আমার ছেলের বউ এবং নাতনির এখন উপায় কী হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সরকারের চাপে বাধ্য হয়ে ওজন কমালেন ৫৪২ কেজি

উত্তর আফ্রিকার মুসলিম দেশে নজর জিনপিংয়ের

‘উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে আ.লীগ সরকার’

২৩ নভেম্বর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে

ঢাকার যেসব এলাকায় আজ মার্কেট বন্ধ

আজকের নামাজের সময়সূচি

প্রথম দিনে উইন্ডিজ তুলল ২৫০ রান

গাঁজা-জাল নোটসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ

উইন্ডিজের প্রতিরোধ ভেঙে বাংলাদেশের স্বস্তি

১০

টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস / ট্রাম্প ব্যবসায়ী, আমরাও একজন ব্যবসায়িক অংশীদার চাই

১১

২০২৪ সালের হাইয়েস্ট কালেকশন দরদের : শাকিব 

১২

নায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত

১৩

রাজনীতিতে আ.লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে হবে: নুর

১৪

নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে : মির্জা ফখরুল

১৫

খাসজমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে দুজন নিহত

১৬

মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ক্রীড়াঙ্গন অন্যতম একটি মাধ্যম : আমিনুল হক 

১৭

তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল

১৮

আহত রানার পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

১৯

ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক

২০
X