ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় একজন ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতাসহ দুজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের জিৎপুর-ভাদাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় ও মাদক বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম রিংকুর নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান আহত যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম তুষার (২৮) ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক জাফর আহমেদ (৩০)।
তৌহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় ও মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়া নিয়ে ইউপি সদস্য আবদুল কাইয়ুম রিংকুর সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন রাতে তিনি ও তার এক সহযোগী জাফর আহমদ স্থানীয় জিৎপুর-ভাদাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। হঠাৎ ইউপি সদস্য আবদুল কাইয়ুম রিংকুর নেতৃত্বে মো. জাবেদ, রিয়াদ ভূঁইয়া, সাইফুল ইসলাম, মো. রাব্বি, মো. রায়হান, মো. সোহেল, জাহাঙ্গীর আলমসহ ১০-১২ জন মোটরসাইকেলে করে এসে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে তার হাত, পা ও পিঠে এবং জাফরের হাত, মাথা ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তার শরীরে ৩২টি ও জাফরের শরীরে ২৫টি সেলাই করা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আবদুল কাইয়ুম রিংকু বলেন, ঘটনার সময় আমি ফেনী শহরে ছিলাম। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনার সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে।
মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউজ্জামান বাবু জানান, ঘটনা শুনে হাসপাতালে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিয়ে চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন