মাগুরায় পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৩ শীর্ষক প্রকল্পের অব্যহতি প্রাপ্ত ১৯০ দুস্থ মহিলা কর্মীর মাঝে চেক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় যৌথ সঞ্চয়ী হিসাবের মোট ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৭৫ টাকার চেক ও সনদপত্র বিতরণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এলজিইডির কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী মিলনায়তনে মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার উপকারভোগীদের হাতে এ চেক ও সনদপত্র তুলে দেন।
ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, বিরোধী অপশক্তি বিএনপি জামায়াত-শিবির এ দেশের উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন চায় না। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ধ্বংস ও সরকার উৎখাত করতে ষড়যন্ত্র করছে। নারীদের সঞ্চয়ের টাকা আয়বর্ধক খাতে ব্যয় করবেন যাতে করে আপনারা নিজেদের ও পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাগুরা-২ নির্বাচনী এলাকা, সদরের ৪টি ইউনিয়ন, শালিখা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং মহম্মদপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মোট ১৯০ উপকারভোগী মহিলা কর্মীর প্রত্যেককে যৌথ সঞ্চয়ী হিসাবের ৪০% প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হারে ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৭৫ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। আরইআরএমপি তৃতীয় প্রকল্পের কাজ শেষে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ সব নারীরা তাদের মজুরির একটি অংশকে যৌথ সঞ্চয়ের মাধ্যমে কর্মসূচি চলাকালীন জমিয়েছিলেন।
জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আ ন ম ওহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রানা আমীর ওসমান।
বক্তব্য দেন জেলা এলজিইডির সিনিয়র প্রকৌশলী তাসমিন আক্তার, সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল কবির, শালিখা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন, মহম্মদপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শোয়েব মহাম্মদ, ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিমলেন্দু শিকদার, বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিকদার, গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নাসিউল ইসলাম মিলন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন