হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। সৃষ্টি করেছে কর্মসংস্থান। খামারে উৎপাদিত আমিষ এবং ডিম, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা হলে আরও খামার বৃদ্ধি পাবে বলে জানান খামারিরা। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, হাঁস খামারিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
নাটোরের হালতিবিলে হাঁস পালন লাভজনক। বিলে প্রায় তিন থেকে চার মাস পানি থাকে। হাঁসের প্রধান খাদ্য শামুক, ঝিনুকসহ জলের নানা প্রাণী। এতে হাঁস পালনে খরচ কম। হাঁসের ডিম বিক্রি করেই চলে অনেকের সংসার। তবে খরা মৌসুমে এসব খামারি পড়েন বিপাকে। ফিট, গমের ভুসি, ভুট্টাসহ নানা ধরনের খাদ্য কিনে খাওয়াতে হিমশিম খান খামারিরা। সরকারিভাবে হাঁসের চিকিৎসাসেবাসহ সুযোগ-সুবিধা চান খামারিরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী তূর্য, সোহেল রানা ও খামারি জালাল মৃধা জানান, এসব হাঁস খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয়দের। খামারে কাজ করে মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা রোজগার করে। এ আয়েই চলে তাদের সংসার। তবে সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা হলে আরও খামার বৃদ্ধি পাবে বলে জানান খামারিরা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পবিত্র কুমার বলেন, উপজেলায় প্রায় ৫০টি স্থানীয় খামার রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে প্রায় দেড় শতাধিক খামারি হাঁস পালন করছেন। হাঁস খামারিদের টিকা, প্রশিক্ষণ দিয়ে ডিম ও আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন