মাথাপিছু দৈনিক ৬৫ গ্রাম হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় বার্ষিক মাছের চাহিদা ২৫ হাজার ৩৪৬ টন। এর বিপরীতে পুকুর, খাল, বিল, বাঁওড় নদী মিলিয়ে মাছ উৎপাদন হয় ২৩ হাজার ৬২৬ টন। এ হিসেবে জেলায় বছরে মাছের ঘাটতি রয়েছে ১ হাজার ৬২০ টন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দ্বীপক কুমার পাল।
তিনি জানান, জেলায় চলতি বছরের হিসেব মতে, মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৫ হাজার ১১২ জন। মৎস্যচাষি রয়েছেন ৯ হাজার ৩১২ জন। এর মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মৎস্যচাষি ১ হাজার ৪৩০ জন। এসব মৎস্যজীবী ৪৪টি মৎস্যজীবী সমিতির আওতাভুক্ত হয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন। জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলার মৎস্যচাষিদের মাঝে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে।
দ্বীপক কুমার পাল জানান, চুয়াডাঙ্গায় কৃষি জমির পরিমাণ মোট ভূমির ৮৪ দশমিক ৪ শতাংশ আর মৎস্য চাষের উপযোগী জলাশয়ের পরিমাণ ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। জেলায় মোট জলায়তনের পরিমাণ ৬ হাজার ৫শ দশমিক ৭৫ হেক্টর। এর মধ্যে নদী ১ হাজার ৪ হেক্টর। পুকুর ১১ হাজার ৫৮টি, আয়তন ২ হাজার ৬৫০ দশমিক ৮১ হেক্টর। বাঁওড় ১০টি, আয়তন ৪৯৮ হেক্টর। নদী ৬টি, আয়তন ১ হাজার ৪ হেক্টর। বিল ৬১টি, আয়তন ১ হাজার ১৬১ হেক্টর।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানায় জেলা মৎস্য অফিস। চুয়াডাঙ্গা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দ্বীপক কুমার পালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার, জরিপ কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন