খুলনায় চাঁদখালীর নৈর নদীর ওপর বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করছে পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের উত্তর গড়েরাবাদ নৈরনদীর ওপর এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় ২০ বছর আগে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান জোয়াদুর রসুল বাবু বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। পাঁচটি গ্রামের মানুষ এ সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে আসছে।
স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে এ নদীতে একটা ব্রিজ দাবি করলেও কর্ণপাত করেনি কেউ। প্রতিদিন হাজারো মানুষ বাঁশের এ সাঁকো পার হয়ে পূর্ব গজালিয়া দিয়া উপজেলা পাইকগাছাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করছে। পাঁচ বর্গকিলোমিটার গ্রামে প্রায় তিন হাজার লোক বসবাস করে। এখনে কোনো বিদ্যালয় নেই। নেই কোনো হাট-বাজার। যে কারণে গ্রামের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হয়ে পূর্ব গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যাতায়াত করে। সাধারণ জনগণ যাতায়াত করে হাটবাজারে। এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি কমিয়ে দিয়েছে তিন কিলোমিটার পথ। এ জন্য সময়ের প্রয়োজনে সকলের দাবি, নদীর ওপর একটা বেইলি ব্রিজ।
স্থানীয় আবুল হোসেন বলেন, আমরা আর ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করতে চাই না। দ্রুত বাঁশের সাঁকোটির পরিবর্তে একটা ব্রিজ দাবি করছি কর্তৃপক্ষের কাছে।
স্থানীয় গৃহবধূ সালমা বেগম বলেন, এ সাঁকো পার হয়ে আমাদের ওপারে খাওয়ার পানি আনতে হয়। অসাবধানত পা পিছলে পড়লে জীবন চলে যাবে নয়তো বিছানায় জীবন কাটাতে হবে। এলাকাবাসীর জন্য একটি ব্রিজ দ্রুত প্রয়োজন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম সরদার বলেন, আমি পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি কয়েকবার জানিয়েছি। তিনি বলেছেন এই মুহূর্তে পরিষদে কোনো বরাদ্দ নেই। আগামীতে দেখি কোনো প্রকল্প নেওয়া যায় কিনা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, এটা একটা গ্রাম্য অবকাঠামো। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব, কীভাবে ওখানে একটা ব্রিজ করা যায়।
মন্তব্য করুন