দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সরকার ঘোষিত কারফিউয়ের কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। বিশেষ করে গত দুই সপ্তাহ ধরে তেঁতুলিয়ার পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকরা আসতে পারছেন না। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেলসহ ইজারাদার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলন ও কারফিউয়ের কারণে এ শিল্পে ধস নেমেছে। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘিরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। পর্যটনশিল্প খুবই সম্ভাবনাময় এই তেঁতুলিয়ার বেশিরভাগই স্পটগুলো এখন পর্যটকশূন্য। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে নেই দর্শনার্থী। উপজেলা শহরের আবাসিক হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজগুলোতে শূন্যতা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,জেলার তেঁতুলিয়া সমতলের বুকে বিখ্যাত অর্গানিকসহ বিভিন্ন চা বাগান, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট-ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, রওশনপুরে কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট, আনন্দধারা, আনন্দ গ্রাম, শিশু পার্ক, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মহানন্দা নদীর পাড়, পুরাতন বাজার সীমান্ত নদী এলাকা, মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়ার স্মৃতিসৌধ, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, তেঁতুলিয়ার বেরং কমপ্লেক্সসহ পিকনিক কর্নার যেন পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে।
তেঁতুলিয়া বাংলা হোটেলের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের ব্যবসাটাই পর্যটককেন্দ্রিক। পর্যটক না আসলে আমাদের প্রতিদিন লোকসান দিতে হয়। কারফিউ জারির পর থেকেই আমাদের রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখতে হয়েছে। রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, পানি বিলসহ আনুষঙ্গিক খরচ আমাদের ঠিকই বহন করতে হচ্ছে।
ইএসডিও পরিচালিত তেঁতুলিয়া ইকো মহানন্দা কর্টেজের ম্যানেজার বিপ্লব চন্দ্র রায় বলেন, বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় পর্যটক খুবই কম আসছেন। চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটক আসা পুনরায় আসতে শুরু করবে। তবে সামনে অক্টোবর মাসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে অনেক পর্যটক তেঁতুলিয়ায় ভিড় করবেন। এ ছাড়াও টিউলিপ ফুল বাগান দেখতে অনেক পর্যটক আসবেন। আমরা সর্বদা পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।
তেঁতুলিয়া বিট কর্মকর্তা নুরুল হুদা বলেন, বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় ইকোপার্কে পর্যটক নেই বললেই চলে এবং দেখা যায় না। সাধারণ ছুটি ও কারফিউর জন্য পর্যটকরা আসছেন না। তা ছাড়া সাধারণ ছুটি ও কারফিউর উঠে গেল পর্যটকরা আসতে শুরু করবে।