শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
বগুড়া ব্যুরো ও সারিয়াকান্দি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দেড় কিমি বাঁধের অভাবে ভুগছে আট গ্রামের মানুষ

সামান্য পানিতেই তলিয়ে যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি। ছবি : কালবেলা
সামান্য পানিতেই তলিয়ে যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি। ছবি : কালবেলা

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মাত্র দেড় কিলোমিটারের একটি বিকল্প বেড়িবাঁধের অভাবে প্রতি বছর পানিতে ডুবছে তিন ইউনিয়নের ৮ গ্রামের ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। সেই সঙ্গে ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যায়। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে থাকতেই প্লাবিত হচ্ছে এসব এলাকা। বন্যার পানি থেকে রক্ষা পেতে বিকল্প বেড়িবাঁধের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর আগে উপজেলার কুতুবপুর, চন্দনবাইশা এবং কামালপুর ইউপির ওপর দিয়ে যমুনা নদীর ডানতীরে একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বেড়িবাঁধটি যমুনা নদীর ডানতীর হতে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে তিন ইউনিয়নের ৮টি গ্রাম প্রতি বছর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বাইরে চলে যায়। এতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আগেই এসব গ্রামের বাড়ি পানিতে ডুবে থাকে। যা কয়েক মাস স্থায়ী হয়।

ফলে ঘুঘুমারি, শেখপাড়া, ফকিরপাড়া, বয়রাকান্দি, ধলিরকান্দি এবং বড় কুতুবপুর পূর্ব পাড়াসহ ৮টি গ্রামের ১৩ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আশ্রয় নেয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে। সেখানে কয়েক মাস তারা মানবেতর জীবনযাপন করেন। এ সময় তারা বিশুদ্ধ পানি, খাবার সংকট এবং পয়ঃনিষ্কাশনজনিত সমস্যায় ভোগেন। খাবার সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যায় পড়ে গৃহপালিত নানা ধরনের পশু পাখি। দীর্ঘ সময় পানি থাকায় ওই সব এলাকার ৬০০ একর কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়।

কর্নিবাড়ি, ঘুঘুমারি, ঘুঘুমারি দক্ষিণপাড়া, বয়রাকান্দি, ধলিরকান্দি ও ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আবু আব্দুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসাসহ প্রায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত হয়।

কুতুবপুর পূর্ব পাড়ার মোশাররফ হোসেন জানান, প্রতিবছর তিনি তার পরিবারসহ গবাদিপশু নিয়ে বর্ষার মৌসুমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেন। বাঁধে আশ্রয় নিয়ে বউ বাচ্চা আর গরু ছাগল নিয়ে প্রতি বছরই তিনিসহ হাজারো পরিবার নানা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। প্রতিবছর ফসলহানি হয়ে তারা এখন দিন দিন ঋণগ্রস্থ পড়ছেন। একটি বিকল্প বেড়িবাঁধ হলে তাদের ভোগান্তির অবসান হতো।

কুতুবপুর ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, কুতুবপুর ইউনিয়নসহ ৩টি ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের ১৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রতি বছর পানিবন্দি হয়ে বন্যার সময় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেন। এ সময় তারা নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হন। তাই এ দুর্ভোগ হতে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে দ্রুত এখানে একটি বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্রয়োজন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা তৌহিদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তারা সেখানে একটি বিকল্প বেড়িবাঁধ করতে পারবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনমজুরকে গলা কেটে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

জাবিতে কোনো কমিটিই নেই, হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে : ছাত্রদল

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল গৃহবধূর

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আটক

দেশের ৩ অঞ্চলে হিট ওয়েভের শঙ্কা

ঢাকাস্থ গণচীনের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ

চট্টগ্রামে হাতকড়া পরে ফিরল সাবেক এমপি ফজলে করিম

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রতিরোধে একমত যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স

প্রধান উপদেষ্টার / সহকারী প্রেস সচিব হলেন দুই তরুণ সাংবাদিক

শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব, শিক্ষাব্যবস্থায় অচলাবস্তা

১০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধূম্রজাল

১১

গণপিটুনির ঘটনায় / জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

১২

জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তারেক রহমান

১৩

বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার দাবি লায়ন ফারুকের

১৪

জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা, এক সমন্বয়ককে অব্যাহতি

১৫

ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

১৬

মাদারীপুরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যায় মানববন্ধন

১৭

জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের টাওয়ার পদ্মায় বিলীন

১৮

দীঘিনালায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

১৯

তিন মাস ধরে ১৪০০ চা শ্রমিকের মজুরি বন্ধ

২০
X