বগুড়া ব্যুরো ও সারিয়াকান্দি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দেড় কিমি বাঁধের অভাবে ভুগছে আট গ্রামের মানুষ

সামান্য পানিতেই তলিয়ে যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি। ছবি : কালবেলা
সামান্য পানিতেই তলিয়ে যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি। ছবি : কালবেলা

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মাত্র দেড় কিলোমিটারের একটি বিকল্প বেড়িবাঁধের অভাবে প্রতি বছর পানিতে ডুবছে তিন ইউনিয়নের ৮ গ্রামের ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। সেই সঙ্গে ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যায়। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে থাকতেই প্লাবিত হচ্ছে এসব এলাকা। বন্যার পানি থেকে রক্ষা পেতে বিকল্প বেড়িবাঁধের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর আগে উপজেলার কুতুবপুর, চন্দনবাইশা এবং কামালপুর ইউপির ওপর দিয়ে যমুনা নদীর ডানতীরে একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বেড়িবাঁধটি যমুনা নদীর ডানতীর হতে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে তিন ইউনিয়নের ৮টি গ্রাম প্রতি বছর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বাইরে চলে যায়। এতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আগেই এসব গ্রামের বাড়ি পানিতে ডুবে থাকে। যা কয়েক মাস স্থায়ী হয়।

ফলে ঘুঘুমারি, শেখপাড়া, ফকিরপাড়া, বয়রাকান্দি, ধলিরকান্দি এবং বড় কুতুবপুর পূর্ব পাড়াসহ ৮টি গ্রামের ১৩ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আশ্রয় নেয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে। সেখানে কয়েক মাস তারা মানবেতর জীবনযাপন করেন। এ সময় তারা বিশুদ্ধ পানি, খাবার সংকট এবং পয়ঃনিষ্কাশনজনিত সমস্যায় ভোগেন। খাবার সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যায় পড়ে গৃহপালিত নানা ধরনের পশু পাখি। দীর্ঘ সময় পানি থাকায় ওই সব এলাকার ৬০০ একর কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়।

কর্নিবাড়ি, ঘুঘুমারি, ঘুঘুমারি দক্ষিণপাড়া, বয়রাকান্দি, ধলিরকান্দি ও ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আবু আব্দুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসাসহ প্রায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত হয়।

কুতুবপুর পূর্ব পাড়ার মোশাররফ হোসেন জানান, প্রতিবছর তিনি তার পরিবারসহ গবাদিপশু নিয়ে বর্ষার মৌসুমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেন। বাঁধে আশ্রয় নিয়ে বউ বাচ্চা আর গরু ছাগল নিয়ে প্রতি বছরই তিনিসহ হাজারো পরিবার নানা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। প্রতিবছর ফসলহানি হয়ে তারা এখন দিন দিন ঋণগ্রস্থ পড়ছেন। একটি বিকল্প বেড়িবাঁধ হলে তাদের ভোগান্তির অবসান হতো।

কুতুবপুর ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, কুতুবপুর ইউনিয়নসহ ৩টি ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের ১৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রতি বছর পানিবন্দি হয়ে বন্যার সময় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেন। এ সময় তারা নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হন। তাই এ দুর্ভোগ হতে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে দ্রুত এখানে একটি বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্রয়োজন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা তৌহিদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তারা সেখানে একটি বিকল্প বেড়িবাঁধ করতে পারবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ চায় না জাতীয় পার্টি

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত

শীতে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ তোশক কারিগরদের

ধানবীজ কিনে প্রতারিত কৃষক

কুরিয়ার সার্ভিসে চুরি, ১৯ লক্ষাধিক টাকাসহ কর্মচারী গ্রেপ্তার

বিএনপির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

গুগল ড্রাইভ থেকে ডিলিট ফাইল খুঁজে পাবেন যেভাবে

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে গুলি, নিহত ৪২

আজ ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

ঝোপের ভেতরে গলাকাটা লাশ

১০

বাকৃবি রোভাররা সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব গঠনে কাজ করবে : বাকৃবি উপাচার্য

১১

আলু বীজের সংকটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

১২

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়াল

১৩

এইচএসসি পাসে চাকরি দিচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক

১৪

শীত নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

১৫

আ.লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা তুলে নিলেন ছাত্রদল নেতা

১৬

কুষ্টিয়ায় ভুয়া ডাক্তারকে জেল ও জরিমানা

১৭

আজ টিভিতে যেসব খেলা দেখা যাবে

১৮

প্রবেশপত্র বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগ

১৯

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী

২০
X