ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে রাখা হয়েছে কোটা আন্দোলনের সময় অগ্নিসংযোগের শিকার আন্তঃনগর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ৩টি বগি। বগিগুলো বিক্ষুদ্ধদের দেওয়া আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই।
গত ১৯ জুলাই নরসিংদীর খানাবাড়ি এলাকায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় আন্তঃনগর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ৩টি বগি। মেরামতের জন্য এসব বগি চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে পাঠানো হবে। পুড়ে যাওয়া বগি দেখতে মানুষ জংশনে যাচ্ছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো দেখতে গিয়েছিলেন মো. মনির খান। তিনি বলেন, এমন দৃশ্য দেখে চোখ দিয়ে পানি চলে আসে। সহ্য করার মতো না। এসব রাষ্ট্রীয় সম্পদ জনগণের। এখন মেরামত করতে হবে আমাদের টাকায়। এত বড় ক্ষতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ট্রেন আগুনে পুড়িয়ে দেওয়াসহ সব ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের নিন্দা জানাই।
দীপক কুমার ঘোষ নামে এক ব্যক্তি বলেন, এ ধরনের দুর্বৃত্তপনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবি জানাই।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্র জানায়, আন্দোলনের শুরুর দিকে আখাউড়াতে প্রথমে পর্যটক এক্সপ্রেস ও তুর্নানিশিথা ট্রেন আটকা পড়ে। এসব ট্রেন যাত্রীবিহীন অবস্থায় সরিয়ে নেওয়া হয়। অনির্দিষ্টকালের কারফিউ চলাকালে আটকা পড়ে আন্তঃনগর পারাবাত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ও কালনী এক্সপ্রেস। এসব ট্রেনের যাত্রীরা তিন-চারদিন নাগাদ আখাউড়ায় আটকা ছিলেন। দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে যাওয়া কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এনে রাখা হয় বৃহস্পতিবার। ট্রেনটি শুক্রবার বিকেলে এক নম্বর প্ল্যাটফরম থেকে সরিয়ে শেড এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুড়ে যাওয়া ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার খবরে অনেকেই ছুটে আসেন। তবে স্টেশনে এখনো ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় সবাই সহজেই স্টেশনে প্রবেশ কিংবা ট্রেন দেখতে যেতে পারেনি।
স্টেশন এলাকায় দায়িত্বে থাকা কর্মচারী (ট্রেন গণনাকারী) মো. জাকির হোসেন জানান, গত দুদিন ধরে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত বগি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এনে রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে ক্ষতিগ্রস্ত বগি চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে নিয়ে যাওয়া হবে।