মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইজারাবিহীন চলছে বালু ব্যবসা, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবৈধ বালু উত্তোলন
মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবৈধ বালু উত্তোলন

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালু ব্যবসায়ী মাফিয়ারা। জেলা প্রশাসনের উদাসীনতা ও মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালের কমিশন বাণিজ্যের কারণে উপজেলার অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

ফলে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ লঙ্ঘন ও ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের অনুমোদন না নিয়ে ইজারাবিহীন চলছে বালুখেকোদের রমরমা ব্যবসা। এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। কোথাও ভেঙে যাচ্ছে নদীর পাড়। কোথাও তলিয়ে যাচ্ছে হতদরিদ্রদের বসতবাড়ি। প্রতিবাদ করলে করা হয় হামলা, হুমকি ও হয়রানি- এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

মাধবপুরের বুল্লা ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের পাশে পিডিএল কর্তৃক দুটি ড্রেজার মেশিন সংযুক্ত করে কয়েক কিলোমিটার এলাকা পাড়ি দিয়ে হাইওয়ে রোডের পাশে ফেলা হচ্ছে ইজারাবিহীন লাখো ঘনফুট বালু।

প্রায় ৫০ একর কৃষিজমি থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে অবৈধ বালু। এতে নষ্ট হচ্ছে কৃষিজমি। স্থানীয় বাসিন্দারা এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কারও মাথাব্যথা নেই এ নিয়ে।

এই সিন্ডিকেটে স্থানীয় বুল্লার ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সাবেক মেম্বার মিলন মিয়া, আহাদ মিয়া ও সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম মামুন গং জড়িত থাকায় কেউ কথা বলতে সাহস পান না বলেও জানায় এলাকাবাসী।

অন্যদিকে, উপজেলার চৌমুহনী ইউপি মহব্বতপুর মৌজার মহব্বতপুর গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক উত্তোলিত ৩টি প্যাকেজে ভাগ করা ৩০ লাখ ঘনফুট বালুর মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ ঘনফুট বালু লুট হয়ে গেছে। প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে বালু পাচার হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

বালু ইজারার সরকারি ৮২ লাখ টাকা মূল্য পরিশোধ করা শান্ত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম শান্ত জানান, ১০ লাখ ঘনফুটের বালুর মূল্য আমি সরকারকে পরিশোধ করেছি। এখন এসব লুট হয়ে যাচ্ছে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর জবাব দিতে হবে ইউএনও ও এসিল্যান্ডকেই। এখানে সরকারকে ঠকাচ্ছেন তারা। শান্তর করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এসবের মূলহোতা শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী। সম্প্রতি এ নিয়ে সরেজমিন সাংবাদিকরা প্রতিবেদন করতে গেলে ওই ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের হত্যার হুমকিও দেন।

পরে যোগাযোগ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী জানান, আমরা সবাইকে দিয়েই এখানে ব্যবসা করি। আমাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। পারলে উপরে কথা বলে আসেন।

এ বিষয়ে জানতে মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালকে তার সরকারি নম্বরে একাধিকবার ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেওয়া হলেও তা রিসিভ হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভালুকায় এল এসকোয়্যার কারখানায় তিন শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ

কুমিল্লায় পরকীয়া প্রেমিকের টাকা না দেওয়ায় ট্রিপল মার্ডার

সাগরে নিম্নচাপের আশঙ্কা, ৩ নম্বর সংকেত

৯ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’

ইসরায়েলে রকেট হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ভিয়েতনামেও আছড়ে পড়ল সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’, মৃত্যু ৪

ওএসডি হলেন অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানা 

জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটছে আজ

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ১৫০০ জনবল নেবে দারাজ

১০

আজ চট্টগ্রাম যাবেন হাসনাত, মুন্সিগঞ্জে সারজিস

১১

জনবল নেবে মধুমতি ব্যাংক, ৩৫ বছরেও আবেদন

১২

রাজশাহীতে গণপিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিহত 

১৩

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৪

দেশে ফিরলেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি

১৫

আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

শহীদ আমিনুলের সন্তানদের দায়িত্ব নিল ইত্তেফাকুল উলামা

১৭

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৮

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১৯

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

২০
X