যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙে তিন গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শত শত পরিবার জলাবদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কার ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে ভৈরব নদের ত্রিমোহনী থেকে বয়ে যাওয়া মজুদখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আত্রাই নদী। সেই আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের শান্তিপুর, চন্দ্রপুর ও রামনগর গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে তিন গ্রামের শত শত পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছে।
জলাবদ্ধ গ্রামবাসী জানান, শান্তিপুর গ্রামে ঋষিপাড়া অংশে বাঁধ ভেঙে নদীর পানি ঢুকতে শুরু করে। সকাল হওয়ার আগে বাঁধের ২-৩শ মিটার অংশ ভেঙে শান্তিপুর, চন্দ্রপুর ও রামনগর গ্রামের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি অবস্থায় তিন গ্রামের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের শান্তিপুর, চন্দ্রপুর ও রামনগর গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িতে পানি ওঠায় রান্নাসহ অন্য কোনো কাজ করতে পারছে না অনেকেই। এতে বাঁধের কারণে ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বাঁধটি ঠিক না করলে আরও অনেক ক্ষতির মুখে পড়বে এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর খান বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙে আমার গ্রাম চন্দ্রপুরসহ পার্শ্ববর্তী শান্তিপুর ও রামনগর গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। প্রায় তিনশ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে তিন গ্রামের মানুষ, গবাদিপশু, মাছের ঘের ও বেশ কয়েকটি রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান এ কামাল হাচান বলেন, বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি অবস্থায় তিন গ্রামের প্রায় হাজার হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না বরং বাঁধের একটি স্থায়ী সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি জানার পর যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের কাজ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া কয়েকটি রাস্তা চলাচল উপযোগী করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন