সিলেটের ওসমানীনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭টি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার ও আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে ওসমানীনগর থানায় সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আশরাফুজ্জামান বলেন, বুধবার (২৪ জুলাই) ও বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে উপজেলার কুরুয়া বাজার, দয়ামীর, হবিগঞ্জ জেলার মিরপুর বাজার ও সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ৭ চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। এ সময় চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত আন্তজেলা চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কুরুয়া বাজারে চোরাই সিএনজি অটোরিকশা ক্রয় বিক্রয় হওয়ার খবর পায় পুলিশ। সেখানে অভিযান চালিয়ে সুহেল মিয়া (২৭), রিমন মিয়া (২১) ও হাসান আহমেদকে (২৫) গ্রেপ্তার করলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৪-৫ জন পালিয়ে যায়। এ সময় ২টি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোরে হবিগঞ্জ জেলার মিরপুর বাজারের একটি গ্যারেজে তল্লাশি চালিয়ে আরও ২টি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওয়াহিদ মিয়া(২৮) ও আনিছ মিয়াকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেল ৩টার দিকে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানার লাউয়াই এলাকায় গ্রেপ্তার হাসান আহমদের মালিকানাধীন হাসান ডেটিং ইঞ্জিনিয়ারনিং ওয়ার্কসপসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ৩টি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
এ সময় মিছির আলী (৩২) ও আব্দুল ওয়াদুদ সালমানকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর-১১। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, দুইদিনে অভিযান চালিয়ে ৭টি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা জব্দসহ চোরাই গাড়ি কেনাবেচা ও চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) অফিসে খোঁজ নিয়ে গাড়ির মালিকানার বিষয়ে তথ্য নেওয়া হবে। অভিযানকালে সিন্ডিকেটের কয়েকজন সদস্য পালিয়ে গেলেও তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন