মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেখিয়ে কোটায় বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চাকরি নিয়েছিলেন এম এম জামিল আহম্মদ। তবে চাকরিতে যোগদানের ২৪ বছর পর জানা যায়, এম এম জামিল যোগদানের সময় মুক্তিযোদ্ধার যে সনদ দেখিয়েছিলেন, সেটি ভুয়া।
ভুয়া সনদে চাকরি নিয়ে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের বরিশাল অফিসের ডিজিএম এম এম জামিল আহম্মদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে খুলনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন। জামিল খুলনা নগরীর নির্জন আবাসিক এলাকার মৃত আকমান উদ্দিন মিনার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৭ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা সন্তান/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের জন্য সংরক্ষিত হিসেবে উপসহকারী প্রকৌশলী এবং অফিসার পদে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন। এই পদে আবেদন করে কোটায় চাকরিতে যোগদান করেন জামিল।
তবে দুই যুগ পর কর্তৃপক্ষের নজরে আসে, জামিলের দাখিল করা সনদটি ভুয়া। তাই দুই যুগে বেতন হিসেবে উত্তোলন করা প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে দুদক।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে এম এম জামিল আহম্মদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি।
মামলার বাদী দুদক খুলনা অফিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান বলেন, জামিলের বাবা মৃত আকমান উদ্দিন মিনা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। এর পরও বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে সনদ নেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং করপোরেশনে চাকরি পান। তিনি ২০০০ সালের এপ্রিল থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন ভাতা বাবদ মোট ১ কোটি ৩১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৩৪ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
মন্তব্য করুন