স্বামী জসিম উদ্দিন মারা যাওয়ায় অবুঝ দুটি সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন হাওয়ানুর। দুই শিশু সন্তান নিয়ে ঠাঁই হয় বাপের ভিটায় ভাইদের সঙ্গে। সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ার জন্য লোকের বাড়িতে এমনকি মাঠে-ঘাটে কাজ করে একটি গুরুর বাছুর বর্গা নিয়ে লালন পালন করতে থাকেন। কঠোর পরিশ্রমের পর তার বর্গা নেওয়া গরুটি কিছু দিনের মধ্যেই বাছুর দেওয়ার কথা। এ ছাড়াও চারটি ছাগল, ঘরের টুকিটাকি আসবাবপত্রও করেছেন তিনি। কিন্তু কে জানতো ১৩ বছর ধরে তিলেতিলে গড়া তার সব সম্বল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
গত শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউপির গয়েশপুর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
হাওয়ানুর কোনো মতে তার দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বেরোতে পারলেও শেষ সম্বল বলতে তাদের পরণের কাপর ছাড়া কিছুই নিতে পারেনি। তার কাঁন্না দেখে এলাকার সকলের চোঁখ ছলছল করছে।
স্থানীয় মোহর আলী ও জয়নাল আবেদীন বলেন, অসহায় এই বিধবা মহিলা দুটি সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে ছেলেদের ভবিষ্যতের জন্য যা করেছে। এক রাতে আগুনে পুড়ে তা শেষ হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুন ধরেছে তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারছে না।
ইউপি সদস্য হামিদুর রহমান টুটুল বলেন, সকালে খবর শুনে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। আমার আসার আগে চেয়ারম্যান গিয়ে দেখে এসেছে এবং তিনি ইউএনও স্যারকে বিষটি জানিয়েছেন। আমি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। আমাদের যতটুকু সম্ভব পরিবারটিকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
ইউএনও ইয়াসমিন মনিরা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি যদি আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করে তাহলে সেই পরিবারকে দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন