পাবনা-৪ আসনের এমপি গালিবুর রহমান শরীফ বলেছেন, দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি সহিংসতা চালিয়েছে। গান পাউডার দিয়ে সরকারি সম্পদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ঈশ্বরদীতে আ.লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে মাঠে থাকায় জামায়াত ও শিবির কোনো নাশকতা চালাতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এই জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামীতেও জামায়াত-শিবির ও বিএনপির যে কোনো ধরনের আন্দোলনকে প্রতিহত করার আহবান জানান এমপি গালিব।
দুঃখ প্রকাশ করে দলীয় নেতাকমীদের উদ্দেশ্যে এমপি গালিব বলেন, অভিযান চালিয়ে সহিংসতা ও নাশকতার চেষ্টাকারী জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। আর তাদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে আ.লীগের কিছু নেতাকর্মী জোর তদরিব করছে। জামায়াত ও শিবিরের জন্য তদরিব করবেন না। দুই একজন নির্দোষ ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলেও সমস্যা নেই। ছাড়ানোর জন্য থানায় তদবির করবেন না। তারা আদালতে গিয়ে জামিন নিয়ে আসবে।
গালিব আরও বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলায় আ.লীগের মধ্যে সাংগঠনিক তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সাত বছরেও যুবলীগের কমিটি গঠন হয়নি। আ.লীগের কমিটির একই অবস্থা। এরমধ্যে সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যপার। কারণ আমার বাবা সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুর আগে ঈশ্বরদীতেই তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময় আ.লীগেরই এক ভাই আরেক ভাইকে অস্ত্রের ঝনঝনা দেখিয়েছে ,মারপিট করেছে। এটা আর দেখতে চাই না। সময় এসেছে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে জামায়াত শিবির ও বিএনপির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে উন্নয়নের রাজনীতিতে শরীক হই।
এ সময় ঈশ্বরদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র ইছাহক আলী মালিথা প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে থানা সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতা ও নাশকতার অনুরূপ ঈশ্বরদীতেও বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিন মামলায় নামীয় আসামি করা হয়েছে ২০ জনকে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২-৩শ জনকে। ইতোমধ্যেই ৩০জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন