দুই গ্রামের মাঝে সংযোগ সড়ক। বর্ষাকাল এলেই এই সংযোগ সড়কটি পানিতে ডুবে যায়। তখন এলাকাবাসী মিলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হতে হয় তাদের। তাই বাঁশের সাঁকোটিই দুই গ্রামবাসীর একমাত্র ভরসা।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মোজাফরপুর এবং নয়াপাড়া দুটি গ্রাম। এই দুই গ্রামের শতশত লোকজনের চলাচলের জন্য রয়েছে একটি মাত্র সংযোগ সড়ক। এই সড়কটি নিচু হওয়ায় বর্ষাকালে পানির নিচে তলিয়ে যায়। তখন এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। ফলে বর্ষাকালে এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই গ্রামবাসীর।
যুগের স্রোতে বিভিন্ন জনপদের চেহারা পাল্টালেও এখানে বাঁশের সাঁকোটির স্থানে নির্মিত হয়নি কোনো উঁচু সড়ক। এই নিচু সংযোগ সড়কটির জন্য দ্বিখণ্ডিত হয়ে আছে গ্রাম ও গ্রামের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এখানে সংযোগ সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি ক্ষেত্রেও গ্রামের লোকজনকে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এ নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে বর্ষাকালে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, হাটবাজারের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। তবে এখানে একটি উঁচু সংযোগ সড়ক নির্মিত হলে এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা বলেন, এই সাঁকো দিয়ে বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামবাসী চলাচল করছেন। এ বছর আমার ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছি। এখানে একটি উঁচু সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করা হলে গ্রামবাসীর দীর্ঘ বছরের দুঃখ লাঘব হবে। এই দুই গ্রামের মাঝে একটি উঁচু সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আল আমিন সরকার বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এই সংযোগ সড়কটির আইডি আছে কি না দেখে মোজাফফরপুর এবং নয়াপাড়া গ্রামের মাঝে একটি উঁচু সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন