কারফিউ শিথিল করায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে জীবনযাত্রায় ফিরেছে স্বস্তি। সহিংসতা ও কারফিউ জারির কারণে জনজীবনে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছিল তা কাটতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে লোকজন নানা কাজে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। শহরের সব মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খুলে বেচাকেনা করতে দেখা যায়। তবে ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল কম। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগের মতো ব্যবসা জমে উঠবে।
এদিকে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। কারফিউ শিথিল করায় শহরের পরিস্থিতি আগের তুলনায় স্বাভাবিক হয়েছে। এতে করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান খুলছে। যানবাহন ও লোকজনের আনাগোনা অনেক বেড়েছে।
শহরের প্রধান প্রধান সড়কে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সবজি বাজার, মুদি বাজার, মাছ বাজার, চাল মার্কেট, কাপড় মার্কেট, প্লাজা মার্কেট, রেলওয়ে গেট বাজার ও বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ দোকান খোলা, সব দোকানে ক্রেতাদের পণ্য কিনতে কমবেশি ভিড় দেখা যায়। বিশেষ করে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে ভিড় ছিল বেশি। মুদি বাজারেও আনাগোনা দেখা যায় ক্রেতাদের।
বাজারে আসা ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন বলেন, সহিংসতা ও কারফিউয়ের কারণে বাজার করা হয়নি। সকাল থেকে কারফিউ শিখিল হওয়ায় বের হয়েছি। বাড়িতে সবজি নেই, তাই সবজি কিনে ঘরে ফিরছি। তবে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম চড়া বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শহরের পাঁচ মাথা মোড়ে ফল বিক্রেতা রুবেল জানান, লোকজনের আগমন বেড়ছে। দিনে কারফিউ না থাকায় দোকান খুলেছি। আমার মতো আরও অনেকে দোকান খুলেছে। তবে বেচাকেনা তেমন জমে ওঠেনি।
সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন সরকার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠায় ব্যবসায়ীরা আগের মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। ব্যবসা বাণিজ্য পুরোপুরি সচল হয়েছে। লোকজনও বাজারমুখী হয়েছেন। এখন কোনো সমস্যা দেখছি না আমরা।
নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহ নেওয়াজ হোসেন সানু বলেন, সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। পরিবহন শ্রমিকরা আর্থিক অনটনে সংকটে ছিল। তবে কারফিউ শিথিল হওয়ায় জেলার সব রুটে গাড়ি চলছে। যাত্রীরাও বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করছেন। সড়কে নিরাপত্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন