নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, লুটপাট ও নাশকতার ঘটনায় গত ৭২ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জন আটকসহ ৩০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় নাশকতার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীদের নাম বের হয়ে এসেছে। এদের মধ্যে মূল নেতৃত্বে দেয় জামায়াত নেতা ফতুল্লার মাসুদ মেম্বার। এ ছাড়া যুবদল নেতা মামুনের নেতৃত্বে সাইনবোর্ড, জালকুড়ি ও ভূইগড় এলাকায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া মোড়, ২নং রেলগেট, সদর থানা, ফতুল্লা থানার জালকুড়ি, ভূঁইগড়, সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল, চিটাগাং রোড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারি অফিস সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশ পিবিআইএ অফিসেও হামলা করে। তিনি বলেন, গত ১৯ জুলাই কাঁচপুর মেঘনা টোল প্লাজা, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এসবি গার্মেন্ট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সাইনবোর্ড হাইয়ে পুলিশ বক্স, বন্দর ধামগড় ফাঁড়ি, জালকুড়ি শীতল বাস ডিপো পুড়িয়ে দেয়। গত ২০ জুলাই শিমরাইল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে গত ২১ জুলাই পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারীদের অপসারণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ নাশকতার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সাজ্জাদ, সজল, সাজিদ, ইমন, আবুল হোসেন সাঈদ ও রেজা নেপথ্যে থেকে নেতৃত্বে দেয়। নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন