কারফিউ জারির কারণে কাপ্তাইয়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে চলছে সুনসান নীরবতা। এতে করে পর্যটনসংশ্লিষ্টদের গুনতে হচ্ছে লোকসান। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ ধরে কাপ্তাইয়ের অধিকাংশ হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট খালি পড়ে আছে। পাশাপাশি বিনোদনকেন্দ্রগুলোতেও পর্যটকদের দেখা যায়নি। পর্যটকশূন্য থাকায় আয় রোজগার কমে গেছে সেখানকার মানুষের।
কাপ্তাই প্রশান্তি পার্কের ম্যানেজার মো. বাবুল মিয়া বলেন, বর্তমানে আমাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। গত কয়েকদিন কোনো বুকিং নেই। এতে দিন দিন বাড়ছে লোকসানের পরিমাণ। প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হবে হচ্ছে আমাদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কবে পর্যটকরা আসবেন বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত।
কাপ্তাইয়ের বোটচালক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, করোনা মহামারির মতো ফের আবারো দুর্দিন ফিরে এসেছে আমাদের। পর্যটক কমে যাওয়ায় বোট ভাড়া নেই বললেই চলে। এতে করে সবার আয় রোজগার কমে গেছে। সংসার চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। বছরের এ সময় দৈনিক ২-৩ হাজার টাকা আয় হলেও গত কয়েকদিন ধরে একদম আয় বন্ধ। যাত্রী পারাপার বা মৎস্য কাজে ব্যবহার করে বর্তমানে কিছু কিছু চালকের ৪০০-৫০০ টাকা আয় হচ্ছে।
কাপ্তাই জেটিঘাট বোট ব্যবসায়ী সমিতির ম্যানেজার শীতল সরকার বলেন, কিছুদিন আগেও পর্যটকের চাপ বেড়ে যাওয়াতে আমরা বোট পরিচালনা করতে হিমশিম খেতাম। অথচ কয়েকদিনের ব্যবধানে একদম আয়-রোজগার কমে গেছে। আশা করছি, আমরা দ্রুত এ সংকট কাটিয়ে উঠব।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দীন কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে কাপ্তাইয়ের পরিস্থিতি খুব ভালো রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দেশে সবকিছু স্বাভাবিক হলে আবারো পর্যটকদের আগমনে মুখরিত হবে পর্যটন শহর কাপ্তাই।
মন্তব্য করুন