লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় দুই সাংবাদিকসহ ছয়জন আহত হয়েছে। এ সময় আন্দোলনকারীরা আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে ইটপাকেল নিক্ষেপ ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। ভাঙচুর করে স্থানীয় এক সাংবাদিকের অফিস। শহরে মিশন মোড় চত্বরে কয়েকঘণ্টা ঢাকা বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করলে ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের আন্দোলনকারীরা আন্দোলন করছে। যার অংশ হিসেবে লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় ও হাতীবান্ধা উপজেলা সদরে গণজমায়েত করে আন্দোলনকারীরা।
এ সময় হাতিবান্ধা চারজন আন্দোলনকারীকে একা পেয়ে মারডাং করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করেন। এদিকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে দুই সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়।
আহতরা হলেন, আনন্দ টিভির প্রতিনিধি আব্দুর রহিম ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি কাজী শাহ আলম। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একাংশ আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে ইটপাট্কেল নিক্ষেপ ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। ইটপাট্কেল নিক্ষেপ করে দৈনিক মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি আশাদুজ্জান সাজুর অফিসে।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে পুনরায় সরকারি আলীমুদ্দিন কলেজ ও মেডিকেল মোড়ে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীদের ওই মিছিলে যুক্ত ছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় চত্বরে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করে। বুড়িমারী মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ লাইনে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। তবে জেলা সদরে কোনো প্রকার প্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বলেন, বিএনপির লোকজন আ.লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এটা নিয়ে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন