সাভারে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত ওই শিক্ষার্থী ঢাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) অধ্যয়নরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসূফ আলী সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিহত শিক্ষার্থীর শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ ছাড়া আহত আরও পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাভার থানার ওসি শাহ জামান কালবেলাকে জানান, আন্দোলনকারীরা সাভারের পুলিশবক্স ভাঙচুর করেছে এবং পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, আমাদের ওপর দফায় দফায় কয়েকশ রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে আমাদের একজন শিক্ষার্থীরা নিহত হয়েছে। আশঙ্কা অবস্থায় একজন এনাম মেডিকেলে দিকিৎসাধীন। এ ছাড়াও অনেকেই আহত হয়ে এনাম মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতোলে ভর্তি রয়েছে।
জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বাজার বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করে পাকিজা এলাকার দিকে এগিয়ে যায়। সেখানে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা, তাদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরাও ছিলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা সামনে এগোতে থাকলে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। তখন শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ। পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও গুলি চালায়।
এদিকে সারা দেশে ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেলের চিকিৎসক ডা. রুকনুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারীদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ছাড়াও রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর, শনির আখড়া, কাজলা ও যাত্রাবাড়ী, মেরুল বাড্ডাসহ আরও কিছু জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন