টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগ ও ছাত্রলীগের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর আগে বাসস্ট্যান্ডে ছাত্র-পুলিশের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকেই দফায় দফায় শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড, নিরালার মোড়, রেজিস্ট্রিপাড়া এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এর পরে দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা জেলা আ.লীগের অফিস ও ছাত্রলীগের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুরো এলাকাজুড়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা যানবাহন এবং পোস্ট অফিসে ভাঙচুর চালায়।
সংঘর্ষ চলাকালে আনন্দ টিভির মৃদুল, সময় টিভির আব্দুর রাশেদ, নাগরিক টিভির নোমান, এখন টিভির ক্যামেরাম্যান শোভন ও বিডি নিউজের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসেনসহ অন্তত আহত হয়েছেন ২০ জন। এ ছাড়া পুলিশের গুলিতে এক শিক্ষার্থী পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সকালে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও রাবার বুলেট ছোড়া শুরু করে। এ সময় সাধারণ মানুষ আতংকিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করে।
এ বিষয় টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর জানান, কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা জেলা আ.লীগ ও ছাত্রলীগের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা জানমালের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এতে পুলিশের ওপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ সবসময় ধৈর্যের সঙ্গে সবকিছুই মোকাবিলা করছে।
মন্তব্য করুন